প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত পেশাগত সমস্যা সমাধানে অস্বাভাবিক কালক্ষেপণের প্রতিবাদে সংগ্রাম পরিষদের আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা।
বিশেষ প্রতিনিধিঃ
প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি ও আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির সুপারিশের আলোকে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের পেশাগত সমর্থ এক যুগেও বাস্তবায়িত না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র শিক্ষক পেশাধারী সংগ্রাম পরিষদের নেতৃবৃন্দ। ১৩ জুলাই জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরন বা হলে জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে সমান পরিষদের সদস্য সচিব মোঃ সিরাহুল ইসলাম জানান, ২০১২ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রধানমন্ত্রী বিতর্কিত ঢাকা ইমারত নির্মাণ বিধামালা ২০০৮ ৩ বিএনবিসি ২০২০ সংশোধনপূর্বক গেজেট প্রকাশ, প্রাথমিক নিযুক্তি-কাণে অন্যান্য পেশাজীবীদের ন্যায় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের একটি স্পেশাল ইনক্রিমেন্ট প্রদান, সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা ও সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানীসমূহে কর্মরত ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার উপ-সহকারী প্রকৌশলী/সমমানের পদ থেকে সহকারী প্রকৌশলী/সমমানের পদে পদোন্নতির কোটা ৫০% উন্নীতকরণসহ সর্বোচ্চ পদ পর্যন্ত পদোন্নতি অবারিত করার ঘোষণা দিয়েছেন। এছাড়া পলিটেকনিক, টিএসসি, এসএসসি (ভোক) এবং বৈদেশিক কর্মসংস্থানাধীন টিটিসির শিক্ষক-কর্মচারির শুনা শিক্ষক সংকট নিরসন, স্থায়ী পদোন্নতি, কারিগরি শিক্ষার শিক্ষার্থীদের ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেনিং ভাতা ও বৃত্তির টাকা আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির সুপারিশের পুরোপুরি বাস্তবায়ন, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ক্লাসরুম, ল্যাব, মা সট নিরসন, মেরিন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের সিডিসি প্রদান, বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের ন্যূনতম বেতন নির্ধারণ ও সম্মানজনক পদবী প্রদানের দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু সরকার প্রধান ও দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গের বার বার আশ্বাস সত্ত্বেও অদ্যাবধি কোন সমস্যার সমাধা হয়নি। বরং নানান অপকৌশলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের অপদস্ত করা হচ্ছে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, ১ সেপ্টেম্বর ২২ আইডিইবি’র জাতীয় সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী তাঁর নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিবকে দায়িত্ব প্রদান করেন। কিন্তু দীর্ঘ ১০ মাস অতিবাহিত হলেও দাবিসমূহ বাস্তবায়নে কার্যত কোন দৃশ্যমান অগ্রগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে না। বরং সরকারের ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা অপশক্তির কারসাজিতে সমস্যা সমাধানে কালক্ষেপণ করা হচ্ছে। বিক্ষুদ্ধ করে তোলা হচ্ছে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র শিক্ষকদের। সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি পেশাগত সমস্যাদি সমাধানে ১৭ জুলাই থেকে ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ডিপ্লেন পর্ব পরীক্ষা চলাকালিন প্রতি রবি ও বৃহস্পতিবার বেলা ১.০০মিনিট থেকে ১.৩০ মিনিট পর্যন্ত সকল সরকারি-বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ক্যাম্পাসে ৪ দফা দাবিতে বাংলাদেশ কারিগরি ছাত্র পরিষদের নেতৃত্বে ছাত্র ছাত্রীদের বিক্ষোভ মিছিল, ১৭ জুলাই ২৩ সকাল ১১ টায় ঢাকাসহ ঢাকা অঞ্চলের সকল জেলা, ১৮ জুলাই ২০ দুপুর ১২টায় ফরিদপুর অঞ্চলের সকল জেলা, ১১ জুলাই ২০ দুপুর- ১২টায় ময়মনসিংহ অঞ্চলের সকল জেলা, ২০ জুলাই ২৩ সকাল ১১টার খুলনা অঞ্চলের সকল জেলা, ২৩ জুলাই ২০ দুপুর ১২ টায় রাজশাহী ও কুমিল্লা অঞ্চলের সকল জেলা, ২৪ জুলাই ২৩ দুপুর ১২টায় রংপুর ও সিলেট অঞ্চলের সকল জেলা, ২৬ জুলাই দুপুর ১২টায় বরিশাল অঞ্চলের সকল জেলা ও ৩০ জুলাই ২৩ দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম অঞ্চলের সকল জেলায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল, ১ থেকে ১৫ আগস্ট ২৩ সার্ভিস এসোসিয়েশনসমূহের সাথে সংগ্রাম পরিষদের মতবিনিময় ও জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা, ১৯ আগস্ট’২৩ বাংলাদেশ পলিটেকনিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় শাখা কমিটি, টিএসসি, এসএসসি ভোক ও টিটিসি শিক্ষক সমিতির সাথে মতবিনিময়, ২ সেপ্টেম্বর ২৩ ঢাকার কাকরাইলস্থ আইডিইবি ভবনে বাংলাদেশ কারিগরি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সম্মেলন এবং ১১ সেপ্টেম্বর ২৩ সকাল ১১টায় ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে মহাসমাবেশ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল সহকারে যাত্রা এবং প্রধানমন্ত্রীর সমীপে স্মারকলিপি প্রদান। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংযান পরিষদের সদস্য সচিব মোঃ সিরাজুল ইসলাম। বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। আহবায়ক নির্জা এটিএম গোলাম মোস্তফা। এ সময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল কুদ্দুছ, নোঃ গি উদ্দিন, মোঃ শাহজাহান কবীর, ইদরীস আলী, আমানুল্লাহ খান ইউসুফণি, মেহেদী হাসান, যুগ্ম সদস্য হাফিজ, জি এম আকতার হোসেন, সাইফুল আলম মোল্লা, ঢাকা সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক মোঃ আব্দুল মান্না সদস্য সচিব দেওয়ান মোঃ ইলিয়াস প্রমুখ।